রাজশাহী সোমবার, ১১ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২

রাজশাহীতে কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় মামলা, যুবক আটক


প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:১১

আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৬

প্রতীকি ছবি

রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র ফাহিম হোসেন (১৮) খুনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহত ফাহিমের বাবা গোলাম হোসেন বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে শাহ মখদুম থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ রাকিব হাসান আবির (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় নিহত ফাহিমের বন্ধু যুবরাজও (১৯) গুরুতর আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত ফাহিম ও আহত যুবরাজের বাড়ি পবা নতুনপাড়া এলাকায়। তারা নগরের বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

শাহ মখদুম থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, ফাহিম খুনের ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে তার বাবা হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীরা হলো- রাকিব হাসান আবির (১৯) ও আযমির হাসান (২০)। তারা দুইজন বখাটে। আসামীদের মধ্যে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি নগরের ভাটাপাড়া কালিরখা মোড় এলাকায়। একই এলাকার আযমির হাসানকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। আযমির এই ছুরিকাঘাত করে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মাসুদ পারভেজ বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পেছনে দুই তরুণ এবং দুই তরুণী বসে গল্প করছিলেন। তখন ফাহিম এবং তাঁর দুই বন্ধু যুবরাজ ও সৈকত তাঁদের বলেন, এখানে বসে গল্প করা যাবে না। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে তরুণীদের সঙ্গে বসে থাকা আযমির ছুরি বের করে ফাহিম ও যুবরাজকে আঘাত করেন। এ সময় প্রাণভয়ে সৈকত পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ফাহিম ও যুবরাজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ফাহিম মারা যান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, সন্ধ্যার আগে ফাহিম ও যুবরাজকে হাসপাতালে আনা হয়। ফাহিমের বুকের বাঁ পাশে ছুরির আঘাতের চিহ্ন ছিল। যুবরাজের বুকের ডান পাশে আঘাত রয়েছে। ফাহিম রাত ৮টার দিকে মারা যায়। তবে যুবরাজ শঙ্কামুক্ত।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় বান্ধবীদের নিয়ে গিয়ে বসে গল্প করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যেই একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামীকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। দ্রুত তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top