রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

মাকে জখম করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে


প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:১৬

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ০৩:৩৬

ছবি: গৃহবধূ

রাজশাহীর বাঘায় নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ মাথায় আঘাত ও শরীরের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তিনি উপজেলার বাউসা টাইরিপাড়া গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী।

স্থানীয় ভ্যান চালক জিল্লুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তাঁকে। এ সময় পরিবারের কোন লোকজন তাঁর সাথে ছিলনা। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে না পারার কারণে আঘাতের বিষয় বিস্তারিত জানা যায়নি।

তবে তাঁর ছোট ছোট কথা বলার এক পর্যায়ে জানা যায়, তাঁর বড় ছেলে মিলন আহমেদ প্লাষ্টিকের ক্যারেড দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছে। এতে আহত হন তিনি।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মেহনাজ জানান, মাথায় আঘাতের কারণে সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বেলা আড়াইটার সময় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত এই চিকিৎসক।

এদিকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করলেও বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত ভ্যানচালক জিল্লুর রহমান ছাড়া পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে গৃহবধুর মেঝ ছেলে মিঠন আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান,আমি এখন হাসপাতালে মায়ের কাছে এলাম।

ভ্যান চালক জিল্লুর রহমান জানান, ওই গৃহবধু রক্তমাখা শরীরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। আমি সেই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় সে আমাকে বাঘা হাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পর গৃহবধুর স্বামী ও ছেলেদের মুঠোফোনে খবর দিই। কিন্তু তাঁদের কেউ আসেননি। আমি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে বিপদে পড়েছি। ভ্যান চালক জানান, তাঁর স্বামী ব্যবসার কাজে চাপাই নবাবগঞ্জে আছেন। গৃহবধুর ৩ ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা বাড়িতে আছেন।

মুঠোফোনে কথা হলে গৃহবধুর স্বামী আবুল কালাম জানান, আমি ব্যবসার কাজে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আছি। পুরো বিষয় সম্পর্কে অবগত নই। তবে ভ্যান চালকের মাধ্যমে জানতে পেরে ছেলেদের খবর দিয়েছি। ছেলেদের যে কোন একজন সেখানে যাবে।

তবে ক্ষোভের সাথে তিনি বলেন, ৩০ বছর আগে বিয়ে করেছি। বিয়ের পর থেকে সংসার জীবনে অশান্তিতে আছি। ৩ ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। ৪টি নাতি আছে। তার দাবি, কারণে অকারণে সে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে। অনেক সময় নিজে নিজেই ঘরের দেওয়ালের সাথে মাথা থাপড়ায়। 

বড় ছেলে মিলন আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার মা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বললো বুঝতে পারছিনা। তবে আমার মা যদি ভালো মানুষ হতো তাহলে আমরা ৩ ভাইয়ের যে কোন একজন সংবাদ পাওযার পর ছুটে যেতাম।

তাঁর দাবি, মায়ের আচরণে আমরা ৩ ভাই ও স্ত্রীরা কেহই সন্তষ্ট নয়। গৃহবধুর মেঝ ছেলে মিঠন আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মায়ের নানান অত্যাচারে পরিবারের আমরা সবাই অশান্তির মধ্যেই সংসার করছি। দুঃখের সাথে এ কথা ছাড়া বলার আর কিছুই নাই।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top