রাজশাহী সোমবার, ১১ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২

এবার ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা


প্রকাশিত:
২৩ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৩৫

আপডেট:
২৩ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪১

ছবি: রাজশাহী পোস্ট

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনায় আবারও কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে ৭২ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে কর্মবিরতি শেষ করে কর্মস্থলে ফিরেন তারা।

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মূল ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা রামেক হাসপাতালে ভাঙচুর, প্রশাসনিক কাজে বাধা, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করা ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তারা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন।

ইমরান হোসেন বলেন, ‘রামেক হাসপাতাল ও চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আরও তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে এক ঘণ্টা জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলার ঘটনায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগ এখনও মামলা হিসেবে গৃহীত হয়নি। দ্রুতই সেই মামলা নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবি করেন তিনি।’

মানববন্ধনে রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রামেক হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, বিএমএ রাজশাহী শাখার সভাপতি ও রামেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নওশাদ আলী, স্বাচিপ রাজশাহী শাখা সভাপতি প্রফেসর ডা. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে শাহরিয়ার নামের এক শিক্ষার্থী আহত হন। অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৪০ মিনিট বিলম্বে এসে গুরুতর আহত রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন রামেকে কর্মরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

পরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে শুক্রবার সকালে কর্মস্থলে ফিরেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও চিকিৎসকরা আজকের এই কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

 

 

আরপি/এসআর-০২



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top