রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


দিয়াশলাই কাঠি জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, ঘুমন্ত স্বামী-সন্তানসহ গৃহবধূ দগ্ধ


প্রকাশিত:
১৪ মার্চ ২০২১ ০০:২৩

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ১৩:০২

বিস্ফোরণে ধসে গেছে দেয়াল

গাজীপুরে চুলা জ্বালাতে গিয়ে বসত বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক গৃহবধূ এবং তার ঘুমন্ত স্বামী-সন্তান দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়াল ধসে পড়েছে এবং দরজা উড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তিন জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) ভোরে কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন—গাইবান্ধা সদর উপজেলার চাপাদহ পূর্বপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলে মামুন মিয়া ওরফে সুমন (৩২), মামুনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৮) ও ছেলে সাকিন মাহমুদ (৫)।


গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহানগরের কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ ভূঁইয়াপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের টিনসেড বাতিতে সপরিবারে ভাড়া থাকেন মামুন। তিনি সেখানে ডিবিএল গ্রুপের একটি কারখানায় কোয়ালিটি শাখায় চাকরি করেন। তাদের ছেলে সাকিন মাহমুদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নার্সারির শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যেতে স্বামীর খাবারের প্রস্তুতি নিতে শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যান মরিয়ম। এ সময় তার স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। রান্না ঘরে দিয়াশলাই দিয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মুহূর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দগ্ধ হন মরিয়ম ও তার ঘুমন্ত স্বামী-ছেলে।

ওসি জানান, বিস্ফোরণে রান্নাঘর ও বসতঘরের দেয়াল ধসে পড়েছে। দরজা বাইরের দিকে ছিটকে গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান। এ সময় তারা আগুনে দগ্ধ ওই তিন জনকে উদ্ধার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। দগ্ধদের মধ্যে শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই ঘরসহ রান্না ঘরটি সেফটিক ট্যাংকির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেফটিক ট্যাংকটি অক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দিয়াশলাইয়ের আগুন ঘরের ভেতর আটকে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে এ ঘটনা ঘটে। তবে তিতাস গ্যাস লাইনের চুলার লিকেজ থেকে নাকি সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আরপি / আইএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top