রাজশাহী সোমবার, ১৮ই আগস্ট ২০২৫, ৩রা ভাদ্র ১৪৩২


নারীর কঙ্কালের ডিএনএ রিপোর্টে এলো পুরুষের!


প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:০৩

আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ০৪:৪২

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার গল্পের মতোই যেন বাঁক বদলাচ্ছে সিলেটের জৈন্তাপুরের পুতুল বেগমের হত্যা মামলা। নারীর কঙ্কালের ডিএনএ রিপোর্টে এসেছে পুরুষের। যাতে ভেস্তে যেতে বসেছিল এ মামলা।

এমন ঘটনায় হতবাক দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পরে তদন্ত কর্মকর্তার অনুসন্ধানে বের হয় ডিএনএ বিশেষজ্ঞের গাফিলতির বিষয়টি। এতে স্বামী দোলনকে জামিন না দিয়ে অধঃস্তন আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, স্বামী ওমর ফারুক দোলনের সাথে দাম্পত্য কলহ চলছিল পুতুল বেগমের। ২০১৫ অক্টোবরে স্ত্রীকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান দোলন। এর ১১ দিন পর, পুতুলের মরদেহ মেলে এক ডোবার পাশে। মামলা হয়, ১৪ দিন পর। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, দোলন। করা হয়, ডিএনএ পরীক্ষা। কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না।

এতে সম্প্রতি জামিন নিতে হাইকোর্টে আসেন, স্বামী দোলন। নথিতে থাকা পুতুল বেগমের ডিএনএ রিপোর্টে মেলে, অবিশ্বাস্য তথ্য। যাতে দেখা যায়, পুতুল আসলে একজন ছেলে। বিস্মিত আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে ডিএনএ রিপোর্ট করতে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু, আরও কয়েকটির সাথে তা গুলিয়ে ফেলেন ডিএনএ বিশেষজ্ঞ আবুল হাসনাত। সব শুনে দোলনকে জামিন না দিয়ে, অধঃস্তন আদালতকে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

দেশের আইনে স্ত্রী মারা গেলে স্বামীকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি খুন করেননি। কিন্তু এ মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ফোন রেকর্ড ও ভুল ডিএনএ রিপোর্টের ঘটনায় কী সাজা হয়; তার উপর নজর রাখবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আরপি / এমবি-৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top