রাজশাহী সোমবার, ১১ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


করোনার প্রভাবে মানসিক চাপে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৩৬

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২২ ০৫:৩৭

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনায় যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। পড়াশোনা নিয়ে বেশ মানসিক চাপে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া করোনার কারণে ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর বেড়েছে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভয় ও উদ্বেগ। ইলেকট্রনিক ডিভাইস আসক্তির কারণে মানসিক সমস্যা বাড়ছে ৭০ দশমিক ৭৩ শিক্ষার্থীর। আর হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতার ফলে শিক্ষাজীবন প্রভাবিত করছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

শনিবার (৮ অক্টোবর) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অ্যাকাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

জরিপের তথ্যে দেখা যায়, ৭৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনা পরবর্তী অ্যাকাডেমিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের মানসিক এবং গঠনমূলক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার আগের তুলনায় পড়াশোনার প্রতি মনযোগ কমে গেছে। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী ঘনঘন পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন। পরীক্ষার সময়ের চেয়ে সিলেবাসের আধিক্য সমস্যায় পড়েছেন ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বল্প সময়ে বড় কোর্স শেষ করার ফলে পড়া বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এবং ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ পড়াশোনার চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না।

জরিপে অভিভাবকদের অযাচিত চাপের কথা জানিয়েছে ৫৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী, অ্যাকাডেমিক চাপের কথা জানিয়েছেন ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছে চাকরি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কথা।

এছাড়া জরিপে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেয়াদে সেশনজটের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

জরিপে আরও বলা হয়, শতকরা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আত্মহত্যার উপকরণ জোগাড় করেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। করোনাপরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার করার কথা মাথায় এসেছে ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

জরিপে ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী ছিলেন ৪৩.৯ শতাংশ ও নারী শিক্ষার্থী ৫৬.১ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরন বিবেচনায় জরিপে মোট অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ৬৭.৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের, ২৩. ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের, অন্যান্য ২.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।

আরপি/ এসএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top