রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


বিভেদ ভুলে শিল্পী সমিতির মিটিংয়ে ডিপজল


প্রকাশিত:
২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৫:১৮

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ০৭:০৪

ফাইল ছবি

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে জায়েদ খান ও মিশা সওদাগর প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ-নিপুণ দ্বন্দ্বের কারণে সমিতির কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন তিনি।

সম্প্রতি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘আপাতত’ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন নিপুণ।

এদিকে গতকাল শনিবার (২৬ নভেম্বর) সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিং হয়। এ মিটিংয়ে মিশা-জায়েদ খানের প্যানেল থেকে বিজয়ীদের অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এতে অনেকে সাড়া দিয়েছেন। মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও সমিতির মধ্যে বিভাজন ও দ্বন্দ্ব চাইনি, পছন্দও করিনি। বরাবরই বলে এসেছি, চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে। নীতিগতভাবে আমাদের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে আমরা সমর্থন দিয়ে আসছি। যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষা করেছি। আর শুরু থেকেই বলেছি, আদালত যে রায় দেবে তা সবার মেনে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন যেহেতু আদালতের তরফ থেকে জানা গেছে, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই, তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রম গতিশীল করা আমার দায়িত্ব। সদস্যরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তাহলে তাদের কাছে কি জবাব দেব?’

ডিপজল বলেন, ‘আমার সমিতি করার প্রয়োজন নেই। আমি নিজেই একটি সমিতি। সমিতিতে থাকলেও আমি ডিপজল, না থাকলেও ডিপজল। এর কোনো হেরফের হবে না। তারপরও সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সমিতি করছি চলচ্চিত্রের স্বার্থে এবং সমিতির সদস্যদের কল্যাণের জন্য।’

তিনি জানান, এমনিতেই দুই বছর মেয়াদের কমিটির একবছর চলে গেছে। সমিতি তো আর অচল থাকতে পারে না। সবার উচিৎ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে বাকি এক বছর সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া। দ্বন্দ্ব-বিভাজন থাকা ঠিক নয়। সবাই একত্রিত হয়ে সমিতিকে এগিয়ে নিতে চান তিনি।

 

 

আরপি/এসআর-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top