রাজশাহী সোমবার, ১১ই আগস্ট ২০২৫, ২৮শে শ্রাবণ ১৪৩২


নমুনা না দিয়েই করোনা পজিটিভ!


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২০ ১৯:৪৬

আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৫

ফাইল ছবি

শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হয়েছেন একজন তরুণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে ঘটেছে। মো. তৌহিদুল ইসলাম নামের ওই তরুণ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার জেলায় নতুন যে ২৯ জন আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে তৌহিদুল একজন। বিষয়টি তার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তৌহিদুল জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দেয়া নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন তিনি। গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরও চারজন ফরম পূরণ করেন। পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর নামের সঙ্গে তার নামও রয়েছে। এজন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। খবরটি শুনে মাথায় বজ্রপাতের মতো অবস্থা। আমি তো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজিটিভ হলাম কিভাবে? এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে ডেকে এনে এটি ভেরিফাই করার জন্য বলা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

 

 

আরপি/এমএএইচ-০১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top