রাজশাহী রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২


টক দইয়ের এই জাদুকরী গুণগুলো জানতেন কি?


প্রকাশিত:
৮ আগস্ট ২০২০ ১৬:১১

আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩৭

ছবি: সংগৃহিত

প্রতিদিনের খাবারে দই থাকে অনেকেরই। রান্নাতেও ব্যবহার করেন কেউ। কেউ আবার খান দুধের বিকল্প হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়াতে পারলেই সহজ হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, এমন কথা মাথায় রেখেই খাবার তালিকায় দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

শরীরে শক্তি বাড়াতে যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট দরকার, তেমনই খেয়াল রাখতে হবে যেন খাবারের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল সম পরিমাণে থাকে। কোভিড আতঙ্কে বাড়ছে উদ্বেগও। তাই সব মিলিয়ে ডায়েটে এমন কিছু রাখতেই হবে, যা পুষ্টিকর এবং সুষম।

বহু রোগে পথ্য হিসেবে দই খেতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান। যেগুলো শরীরের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই।

*উপকারিতা
১. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ফলে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।
২. টক দই খেলে হজম শক্তি ভালো থাকে। কারণ এটি ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আলসারের আশঙ্কাও কমে এর ফলে।
৩. শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হরমোন তৈরিতেও বাধা দেয় টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম। তাই টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই কারণে রোজ টক দই খেলে দাঁতের গঠনও মজবুত হয়।
*সতর্কতা
১. দই পাতার পরে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে।

 

 আরপি / এমবি-৬

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top