রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


মৃত্যুর পরও অন্যের জীবন বাঁচাচ্ছে ১০ বছরের শিশু


প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০১৯ ০১:৫৯

আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০১৯ ০০:৩১

 মা-বাবার অতি আদরের সন্তান সেলিন। গোলাগুলিতে প্রাণ হারায় ১০ বছরের ছোট্ট শিশুটি। মুখের সেই চিরচেনা মিষ্টি হাসিটা মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। কিন্তু মৃত্যুর পরও অন্যদের জীবনে হাসি ফোটাতে যাচ্ছে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশের সেলিন সেবেসি।

গত ১২ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১৮ আগস্ট মারা যায় সেলিন। তার বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা তাদের সন্তানের বিভিন্ন অঙ্গ দান করে দেবেন। এমন সিদ্ধান্তে বেঁচে যাবে অন্য পাঁচজনের প্রাণ।

বালিকেসির এরদেক জেলায় একটি অনুষ্ঠানে দুই ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায়  দুর্ভাগ্যক্রমে মাথায় গুলি লাগে সেলিনের।

তার বাবা-মা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা আমাদের ছোট্ট পরীটার বিভিন্ন অঙ্গ দান করে দেব। এতে অন্য শিশুদের জীবন বেঁচে যাবে। আমাদের মেয়েটাও  বেঁচে থাকবে অন্য শিশুর মাঝে। 

বানদিরমা জেলা হাসপাতালে ইতোমধ্যেই সেলিনের পরিবারের সিদ্ধান্তে তার হৃদপিণ্ড , ফুসফুস, কিডনি, লিভার এবং কর্নিয়া শরীর থেকে আলাদা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের বুরসা এলাকার পাঁচ রোগীকে তার এসব অঙ্গ দান করা হবে।

সেলিনের খালা জানিয়েছেন, তারা সবাই একটি অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন। সে সময় অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষীকে তাড়া করে। ওই নিরাপত্তারক্ষী পালানোর চেষ্টা করলে অস্ত্রধারী ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। হাসপাতালে ছয়দিন জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে যায় সেলিন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে ৪৬ বছর বয়সী মেহমেত সোলাকার নামের এক ব্যক্তিও মারা গেছেন।

আর পি /এম আই



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top