রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


শীগ্রই পরমাণু অস্ত্রধারী হয়ে উঠতে পারে ইরান!


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:৫১

আপডেট:
১১ জানুয়ারী ২০২০ ১০:১৬

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তীব্র উত্তেজনার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করবেন।

ইউরোপীয় নেতারা ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখাতে চান। তারা চান উভয় দেশই যেন সংঘাত থেকে দূরে থাকে। তাদের মতে, ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র যদি এই মুহূর্তে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তবে তা যুদ্ধে গিয়ে ঠেকতে পারে অথবা দু'দেশের পরমাণু কর্মসূচি বৃদ্ধি পাবে।

শুক্রবার এ বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইয়েভস লে দ্রিয়ান বলেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি ২০১৫ লঙ্ঘন করতে থাকে তবে আগামী ২-১ বছরের মধ্যেই তারা পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারে। তিনি বলেন, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্থাৎ দু'এক বছরের মধ্যেই তারা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে সক্ষম হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যতদিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী দেশ হতে দেবেন না। ভাষণের শুরুতেই ট্রাম্প বলেন, আমি যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকব ততদিন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে দেব না।

তিনি বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে তাহলে শান্তি স্থাপনেও আমরা প্রস্তুত। যদি তারা শান্তির পথ বেছে না নেয় তাহলে দেশটির ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।


এদিকে, জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। ফলে দু'দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ দু'টিকে সংঘাত থেকে দূরে রাখতে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

আরপি/ এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top