রাজশাহী সোমবার, ১২ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


কাশ্মীর নিয়ে আরব ও মুসলিম বিশ্ব নিরব কেন?


প্রকাশিত:
৯ আগস্ট ২০১৯ ০৭:১৯

আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ২৩:৪২

সংবিধান থেকে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।

বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত ভারত শাসিত কাশ্মীর। ১৪৪ ধারা চলছে সেখানে। ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে মুর্হুমূহু সংঘর্ষ বাধছে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মানুষদের।

সংকটকালীন এ মুহূর্তে কাশ্মীরি জনগণের পাশে দাঁড়াতে আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত আলেম ও পাকিস্তানের সাবেক শরীয়া কোর্টের সাবেক বিচারপতি আল্লামা তাকী উসমানী।

বৃহস্পতিবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারতের মুসলিম বিদ্বেষী সরকার প্রতি সপ্তাহে শত শত কাশ্মীরীকে হত্যা করছে। কাশ্মীরকে আরেক ফিলিস্তিন বানাতে চায় তারা। কাশ্মীর থেকে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে সেখানে হিন্দুদের বসতি স্থাপন করতে চায়।

কাশ্মীর আজ আহাজারি করে মুসলিম বিশ্বের কাছে জানতে চায়, কেন তাদের রক্ষার জন্যে আরব মুসলিম বিশ্ব সরব হচ্ছে না?

 

আল্লামা তাকি উসমানীর টুইট
আল্লামা তাকি উসমানীর টুইট

 

প্রসঙ্গত, ভারতের সংবিধানের ৩৫-ক ধারা ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ কাশ্মীরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।

সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হল। সেই সঙ্গে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারাল কাশ্মীর।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়—এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে।

সংসদে ক্ষমতাসীন জোট সোমবার ধারা দুটি বাতিলের যে বিল উত্থাপন করে তা পাস হওয়ায় কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দশা এখন ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মতো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top