রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


পত্নীতলায় মাদরাসার প্রিন্সিপাল কর্তৃক বাল্যবিবাহ সম্পন্ন


প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৭

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ০৫:২২

গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন

নওগাঁ পত্নীতলার গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল ( ডিগ্রি ) মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন এর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত বুধবার (১৭ নভেম্বর ) বেলা ১১ টায় পোরশা উপজেলার বষইল গ্রামের মোঃ মফিজুল ইসলাম এর মেয়ে মোছাঃ মরিয়ম (১৬) কে পত্নীতলা উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের মোঃ হুমায়ুন আহমেদ এর ছেলে মোঃ সৈকত হোসেন এর সাথে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেন গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল ( ডিগ্রি ) মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন।

এব্যাপারে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এর মের্সাস জামিল হার্ডওয়ার এন্ড টাইলস সেনেটারীর পরিচালক মোঃ আতিয়ার রহমান এর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিবাহটি আমার বাসায় উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমেই গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন এর মাধ্যমেই বিবাহটি সম্পন্ন করা হয়। মেয়ের বয়স কম তাহলে মাও. মোতাহার হোসেন কিভাবে এই বাল্যবিবাহটি সম্পন্ন করতে পারেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, মেয়ের বয়স সামান্য এক দের বছর কম আছে যার কারণে সমস্যা হয়নি।

পাত্র মোঃ সৈকত হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উভয় পরিবারের সম্মতি নিয়েই এবং তাদের উপস্থিতিতেই আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। আপনার স্ত্রীর বয়স ১৮ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না আমার স্ত্রীর বসয় এখনো ১৮ হয়নি। আমার স্ত্রী মরিয়ম এবার এসএসসি পরিক্ষা দিবে।

অভিযুক্ত গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল ( ডিগ্রি ) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে এই ব্যাপারে জানান জন্য যোগাযোগ করলে তিনি পাত্র ও পাত্রের বাবার নাম শুনতেই তিনি বলেন, এব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

এব্যাপারে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর আঞ্চলিক বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ আছির উদ্দিন ও আইন সহায়তা কেন্দ্র ( আসক ) এর রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মোঃ রুবাইত হাসান জানান, গগনপুর ওয়াজেদিয়া ফাজিল ( ডিগ্রি ) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মোতাহার হোসেন এর কাজ হলো যেখানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করা সেখানে তিনি কিভাবে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করলেন? তার এমন দায়িত্বহীনতা আমাদের কাছে তথা সচেতন সমাজ এর কাছে গ্রহণযোগ্য না।

তিনি বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সেজন্য আমরা প্রশাসনের নিকট আইন অনুযায়ী তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি যাহাতে তার এমন শাস্তি দেখে অন্যান্য যারা বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করে তারা যেন সচেতন হয়ে যায়।

এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিটন সরকার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মুসহাক আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এমন কোন অভিযোগ আমাদের কাছে নেই, যদি অভিযোগ পাই তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আরপি/ এমএএইচ-১৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top