৩ সপ্তাহ পর ঘুরল বাসের চাকা
সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ কাটিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে আজ থেকে রাজধানীতে চালু হয়েছে বাস চলাচল। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বাসগুলো। মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলোতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। সে হিসাবে ৪২ সিটের বাসে পরিবহন করছে ২১ জন যাত্রী।
কয়েকটি বাসের ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করে যাত্রী পরিবহন করার কথা থাকলেও কয়েকজনের মুখে মাস্ক নেই।
শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিল মিরপুর সুপার লিংক। বাসের চালক শফিক জানান, সকাল ছয়টায় বাস নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু ২২ দিন পর রাস্তায় নেমে যাত্রী পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাসে উঠার সময় যাত্রীরা মাস্ক পরিধান করছেন। পরে কেউ কেউ তা খুলে ফেলছেন। সবাই যাতে মাস্ক পরিধান করে এ বিষয়ে বার বার বলা হচ্ছে। মাস্ক কেনো পরেননি জানতে চাইলে যাত্রী শরীফুল আজম বলেন, ঘেমে গেছি তাই একটু সময়ের জন্য খুলে রেখেছি।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নিয়ম মেনে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায় বাস চালু করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাস ও মিনিবাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চালকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গাড়ি নামানোর জন্য এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ঢাকায় প্রায় ছয় হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। ঈদের কেনাকাটা সারতে বাস ও মিনিবাস ব্যবহার করতে না পেরে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যাত্রীরা আশা করছেন, সড়কে শৃঙ্খলা থাকলে পরিবহন সংকট হবে না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়িয়ে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, বিধিনিষেধ ৫ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এতে বলা হয়, সড়কে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
আরপি / এমবি-২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: