রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট ২০২৫, ১৩ই ভাদ্র ১৪৩২


শিগগিরই মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলবো: অর্থমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৫ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:৪৭

আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ০০:২১

ছবি: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বিশ্বের যেসব দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেসব দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে। দশ বছর আগে আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল বিশ্বে ৫৮তম। বর্তমানে আমরা ২৯তম। শিগগিরই আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ানের মতো দেশকে পেছনে ফেলবো’।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ বছর ও এআইএস’র ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি তহবিলে নিজ উদ্যোগে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছর যেসব দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমন ২০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সেই তালিকার অন্যতম। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশই কর্মক্ষম। বিশ্বের আর কোনো দেশ জনমিতিক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দেশের সব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

অ্যাকাউন্টিং বিভাগে ব্লকচেইন বিষয়ে কোর্স চালু করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পবিপ্লবের প্রধান নিয়ামক হবে প্রযুক্তি। প্রযুক্তিনির্ভর এ বিপ্লবের সুযোগ নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিল্পবিপ্লবের সুফল পেতে হলে উপযোগী জনবল কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, সবার ভালোবাসায় আজ আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমার শিক্ষকরা ছিলেন অনেক উদার। তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আমার শিক্ষাজীবনের প্রথম দিকে অর্থাভাবে পড়ালেখা করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। সময়মতো স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকবার স্কুল থেকে না কাটা গেছে। আমার গ্রামের মানুষ অর্থসহায়তা দিয়ে আমাকে এ পর্যন্ত আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু একবার ব্যথা পাওয়ার পর আর খেলা হয়নি। তবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা ছিল তখন থেকেই। এর ধারাবাহিকতায় পরে আবাহনীর ক্রিকেট শাখার দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২৫ থেকে ৩০ বছর আমি সে দায়িত্বে ছিলাম। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পেলাম। কিন্তু সেখানে কিছু নীতিবিরুদ্ধ কাজ আমি মেনে নিতে পারিনি। ক্রিকেটের তথাকথিত মোড়লরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন, যা আমার দেশের ক্রিকেটের স্বার্থবিরোধী। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনি, তাই দেশের সম্মান রক্ষায় পদত্যাগ করেছি।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top