রাজশাহী মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


আত্মহত্যা করলো জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে খেলা সজিব


প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:৫৬

আপডেট:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪২

যুব ক্রিকেটার সজিব

গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সজিব হোসেন নামের এক যুব ক্রিকেটার। শনিবার দিবাগত রাতে নিজের শয়ন কক্ষে আত্মহত্যা করে সে। স্বজনরা ধারণা করছেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলার সুযোগ না পেয়েই আত্মহত্যা করেছে।

সজিব হোসেনের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামে। সে ওই গ্রামের মোরশেদ আলীর ছেলে । সজিব এর আগে জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছে।

জানা গেছে, সজিব হোসেনসহ ৪৬ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে বিকেএসপিতে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছিলো এ বছরের প্রথম দিকে। পরে সেখান থেকে বাছাই করে ২৮ জনের একটি দল ঠিক করে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হয়। ২৮ জনের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৫ জনের একটি জাতীয় দল গঠনের কথা জানিয়েছিল টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলার জন্য সজিব হোসেনকে রাখা হয়নি।

ক্রিকেটার সজিব হোসেনের চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন জানান, অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে এর আগে সবজি শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জাতীয় পর্যায়ে ভালো খেলে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

মোফাজ্জলের দাবি, ভালো পারফরম্যান্স থাকা সত্বেও রাজনৈতিক বিবেচনায় সজিবসহ অনেককেই আসন্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আসরের বাইরে রাখতে এভাবে প্রশিক্ষণের বাইরে রাখা হয়েছে। এ কারনে মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিল সজিব। কিন্তু বাড়ির কাউকে সেটা বুঝতে না দিয়ে শনিবার দিনগত রাতে নিজের শয়ন কক্ষে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরের দিন সকালে সজিবের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসমত আলী জানান, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে ঝালুকা গ্রামে গিয়ে ক্রিকেটার সজিব হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিকভাবে আপত্তি না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ।

 

 

 

আরপি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top