ভুল চিকিৎসায় গাভি-বাচ্চার মৃত্যু, বিপাকে চিকিৎসক

রাজশাহীর বাঘায় গরুর বাচ্চা প্রসব করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় গাভি ও বাচ্চা মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভীটি মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির অভিযোগ তুলে। এঘটনায় বুধবার(৩ আগষ্ট) সকালে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ শফিকুল ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন পশু চিকিৎসক আব্দুর রশিদ।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের আহসান আলীর ছেলে বাজুবাঘা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে তার(গরু)গাভির বাচ্চা প্রসব করানোর জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গিয়ে সেখানে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদকে জানায়। এরপর আব্দুর রশিদ শফিকুলের বাড়িতে এসে ঐ গাভিকে ইঞ্জেকশান দেয় । এর কিছুক্ষন পর গাভি স্বেচ্ছায় বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে-ডাক্তার বাচ্চার পায়ে রশি বেধে টেনে বের করে। ঘটনার এক পর্যায় বাচ্চাটি মারা যায়। তখন আব্দুর রশিদ অনুতপ্ত হয় এবং পাণি সম্পদ অফিসে চলে আসে।
এদিকে এই ঘটনার কিছুক্ষন পরে উক্ত গাভিটিও মারা যাই। তখন গরুর মালিক আব্দুর রশিদকে ফোন করলে তিনি অনুতপ্ত হন এবং দু:খ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি গরু মেরে ফেলার জন্য তার নিকট ক্ষতি পূরণ দাবি করেন। ঘটনার এক পর্যায় এ বিষয়ে কেউ-কোন সমাধান না দিলে গরুর মালিক পরদিন বুধবার (৩-আগষ্ট)সকালে বাঘা থানায় এসে ভুল চিকিৎসায় গাভি ও বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ এনে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও ভেটেরিনারি সার্জন মো: রোকনুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গতকাল উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে একটি মিটিং-এ ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
তবে আব্দুর রশিদ দাবি করেন, তিনি তাঁর উর্ধতন অফিসার ও ভেটেরিনারি সার্জন রোকনুজ্জামানের অনুমতি নিয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে ছিলেন। গরুর জরাযু উল্টে থাকার কারণে বাচ্চা বের করতে দেরি হয় এবং বাচ্চাটি মারা যায়।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে। যদি না হয়, সে ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরপি/ এমএএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: