রেড জোনে রাজশাহী
                                স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি ওয়েব পেজে দেখা যায় দেশের ৫০টি জেলার মধ্যে রাজশাহীকেও করোনা সংক্রমণের রেড জোন বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘গ্রিন, ইয়েলো এবং রেড জোন’- এই তিন ভাগে ভাগ করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এ এলাকার নাগরিকদের জন্য নতুন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনও এ বিষয়ে জানে না কিছু।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানিয়েছেন, তিনি সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জোনিংয়ের কোনো ঘোষণা না এলেও স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), সরকারের এটুআই প্রকল্প, মন্ত্রিপরিষদ ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হয়েছে।
ওয়েবসাইটে শনিবার আপডেট করা তালিকায় বরিশাল বিভাগের বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরকে রেড জোনে দেখানো হয়েছে। ইয়েলো জোনে ভোলা ও ঝালকাঠি জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগে রেড জোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ল²ীপুর ও নোয়াখালী জেলা। ইয়েলো জোনে বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলা।
ঢাকা বিভাগে রেড জোন গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইল জেলা। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর ইয়েলো জোনে। খুলনা বিভাগে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরা রয়েছে রেড জোনে। ইয়েলো জোনে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও মাগুরা। একমাত্র গ্রিন জোন জেলা ঝিনাইদহ।
রাজশাহী বিভাগে রেড জোনে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী। আর ইয়েলো জোনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। রংপুর বিভাগের সব জেলাই রয়েছে রেড জোনে। এছাড়া সিলেট বিভাগেরও সব ক’টি জেলা রয়েছে রেড জোনে। ময়মনসিংহ বিভাগও পুরোপুরি রেড জোন।
আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হয়েছে দেশের পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি। ঢাকা মহানগরীর ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) বলে দেখানো হচ্ছে ১১টি এলাকাকে। তবে রেড জোন বা ইয়েলো জোনে থাকা নাগরিকদের জন্য কোনো ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি সরকারি এই ওয়েবসাইটেও।
রাজশাহীর ডিসি হামিদুল হক বলেন, দেশকে বিভিন্ন জোনে বিভক্ত এবং লকডাউনের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তবে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌখিক বা লিখিতভাবে এখনও কিছু জানায়নি। লকডাউন কার্যকর করতে তাকে যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হবে তিনি সে অনুযায়ীই কাজ শুরু করবেন।
আরপি/এমএইচ-৫
বিষয়: করোনাভাইরাস আইইডিসিআর লকডাউন

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: