বাঘায় বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট, আটকিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম
                                রাজশাহীর বাঘায় চুরির অভিযোগে কাবিল উদ্দিন (৩২) নামের এক যুববকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে দিঘা বাজারের একটি ক্লাবে আটকিয়ে দফায় দফায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
মারপিটে আহত অবস্থায় তাকে চকিদার দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে চুরির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। কাবিল উদ্দিন উপজেলা দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুনসাদ আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার দিঘা পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
এ বিষয়ে কাবিল উদ্দিনের ভাই লাল্টু বলেন, কাবিল উদ্দিন দীর্ঘ সাত মাস যাবত জামালপুরে শশুর বাড়িতে থাকে। অনেক দিন পর পরিবারের সাথে দেখা করতে শুক্রবার রাতে বাড়িতে আসে।
এদিকে আজিজুল হক নামের এক ব্যক্তির সাইকেল হারানোর অভিযোগে ২৫-৩০ জনের একটি দল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাবিল উদ্দিনের বাড়িতে যায়। এ সময় তার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসে দিঘা বাজারের একটি ক্লাবে বেধে দফায় দফায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। তার অবস্থা বেগতিক দেখে চকিদার সিরাজ উদ্দিনের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য তমপ্লেক্রে ভর্তি করানো হয়। পরে এলাকায় সাইকেল চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক চোর গণপিটুতে আহত হয়েছে, মর্মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ ওই সময় কাজে গিয়েছিলাম। কাজে থাকা অবস্থা জানতে পারি বাড়িতে কে বা কারা আক্রমন করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এছাড়া ভাই কাবিল উদ্দিনকে ধরে নিয়ে মারধর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসাপাতালে তার পাশে আছি। যারা এই ঘটনা ঘটিেেয়ছেন তারা সরকারি দল করে। ক্ষতার দাপটে আমার ভাইকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুনেছি আটক দেখানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আজিজুল হক বাদি হয়ে থানায় কাবিল উদ্দিনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগে কাবিল উদ্দিনকে পুলিশ আটক দেখিয়েছেন।
বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর দিঘা ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, কাবিল উদ্দিন এলাকা শীর্ষ একজন চোর। তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সে সাইকেল চুরি করতে গিয়ে জনগনের হাতে আটক হয়। তারপর গণপিটুনিতে আহত হয়ছে। তাকে কোন ক্লাবে ধরে নিয়ে গিয়ে কেউ মারধর করেনি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে কাবিল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তবে তার বাড়িঘর ভাংচুর বা লুটপাটের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কাবিল উদ্দিনের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে, মর্মে এ বিষয়ে কেউ কিছুই বলেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
আরপি/আআ-১৪
বিষয়: বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট পিটিয়ে জখম বাঘা

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: