রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


অধিকার সুরক্ষা পরিষদ নেতাদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা উপ-নিয়ন্ত্রকের জিডি


প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২১ ০৫:১৮

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৩৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বিত সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহব্বায়ক সহ দুইজন শিক্ষকের নাম দিয়ে অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের নামে রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় একটি জিডি করেছেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক।

নিজের নিরাপত্তা ও হুমকির কথা বলে বৃহস্পতিবার সন্ধায় তিনি এই সাধারণ ডায়েরী করেন। তাজহাট থানা ডায়েরী নং ৬৫৭। ডায়েরীতে সামসুল হক বলেন, 'আমি আমার দপ্তরে বসে কাজ করছিলাম। আনুমানিক দুপুর ১.৪৫ ঘটিকায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হক আমাকে পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি আইকিউএসি (প্রশাসনিক ভবন, ৩য় তলা) এর অফিস কক্ষে যেতে বলেন।

আমি এবং আমার সহকর্মী জনাব নিখিল চন্দ্র বর্মন(উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মতিউর রহমান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান(তুহিন ওয়াদুদ) এবং পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ারসহ ৮/৯ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের সাথে উচ্চস্বরে করে কথা বলছিলেন।

আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের কাছে চাহিত কাগজপত্রাদি হস্তান্তর করার সময় প্রফেসর ড. মোঃ মতিউর রহমান আমাকে অযাচিতভাবে অশালীনভাষায় উপাচার্যের দালাল বলে গালাগাল করেন এবং হুমকি প্রদান করেন।

আমি প্রফেসর ড. মোঃ মতিউর রহমানের অশ্লীল শব্দের প্রতিবাদ করলে সেখানে উপস্থিত ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান(তুহিন ওয়াদুদ) উত্তেজিতভাবে চেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠে টেবিল থাপড়াতে থাকেন এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় ধমকিয়ে যেকোন সময়, যেকোন স্থানে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দের এহেন আচরণে আমি বিব্রত হয়ে পড়ি । তাদের এমন হুমকিতে আমি আতংকগ্রস্থ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহব্বায়ক ড. মতিউর রহমান বলেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমাদের নামে মিথ্যাচার করছে। সে এসেই উদ্ধ্যত আচরণ করেছে।

সে যে আচরণ আমাদের সাথে করেছে তা একজন কর্মকর্তা হিসেবে শিক্ষকদের সাথে করতে পারেনা। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনেই সে এটি করেছে। এসময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে এভোয়েড করে রেজাল্ট তৈরি করেছে বলেও জানান মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, ভুল নিয়মে রেজাল্ট তৈরি করে সেটাকে বৈধতা দিতেই আসলে তারা এসব করছে। উল্লেখ, গত ৫ জানুয়ারী ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের দাবীতে রাতব্যাপী আন্দোলনের মুখে পড়ে রাতারাতি রেজাল্ট দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেই রেজাল্ট নিয়ম মেনে হয়নি অভিযোগ তুলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নাজমুল আহসানের সাথে আলোচনা করতে যায় এবং পরে তাকে অবরুদ্ধ করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ।

এর আগে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে উপিস্থিত হওয়ার দাবীতে উপ-উপাচার্য ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. হাফিজুর রহমান সেলিমকে সিণ্ডিকেট রুমে প্রায় সাত ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।

 

আরপি / আইএইচ-০৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top