রাজশাহী সোমবার, ৪ঠা আগস্ট ২০২৫, ২১শে শ্রাবণ ১৪৩২


বিধিনিষেধেও বন্ধ হচ্ছে না পোশাক কারখানা ও ব্যাংক


প্রকাশিত:
৩০ জুন ২০২১ ১৮:০৭

আপডেট:
৪ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৩০

ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন থাকবে সারা দেশে। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ থাকলেও চালু থাকবে জরুরি পরিষেবা। এর বাইরে শুধু রফতানিমুখী পোশাক কারখানা, বন্দর, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট খোলা থাকবে। আর খুবই সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক।

মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীমিত পরিসরে কোরবানির পশুর হাট খোলা রাখার বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও কঠোর বিধিনিষেধ না মানলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনো ব্যক্তি যদি বিধিনিষেধ না মেনে সংক্রমণ ছড়ায় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল দিতে পারবে। এছাড়া আইনের ২৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন বা নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন তাহলে তাকে তিন মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারেন।

মঙ্গলবার রাতে সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে আগামী ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে সাতদিনের জন্য জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বন্ধের বিষয়ে সরকার বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময়ে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরতরা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত খুব কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি আমরা, খুবই কঠোর অবস্থানে।

তিনি বলেছিলেন, এবার লকডাউনে মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হতে পারবে।’

 

 

আরপি/এসআর-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top