রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


এসডিজি বাস্তবায়নে দেশগুলোতে সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ


প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০২২ ০৭:১৫

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ০৭:০২

সংগ্রহীত

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে বিশ্বের প্রতিটি দেশে সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন এবং যাদের এ সংক্রান্ত নীতিমালা রয়েছে, তাদের হালনাগাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মেক্সিকোতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন মন্ডিয়াকল্ট ২০২২ এর বৈঠকে এ তাগিদ দেওয়া হয়।

ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকো সিটিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক নীতিমালা গঠনের ওপর বিশ্ব নেতৃত্বের ঐক্যমতের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন মন্ডিয়াকল্ট ২০২২ শেষ হয়েছে। সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ফ্রান্স ও ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ও প্রথম সচিব মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম অংশগ্রহণ করেন।

টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতির ভূমিকা প্রতিষ্ঠিত করার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে ১৩৬ জন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীকে 'উদ্ভাবন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ' শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য প্রদানের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি গত ২০২০ সালে উদ্ভাবন অর্থনীতি খাতে 'ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার' প্রণয়নের জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে উদ্ভাবন অর্থনীতি একটি নবায়নযোগ্য নিয়ামকের ভূকিকা পালন করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূকে সুরক্ষা প্রদানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী খালিদ বিশ্বে নেতৃবৃন্দকে নিরাপদ, দায়িত্বশীল ও নিয়ন্ত্রিত সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঐক্যবন্ধ হবার আহবান জানান।

সম্মেলন শেষে বিশ্বে নেতৃবৃন্দ কর্তৃক গৃহীত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবন অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একমত পোষণ করা হয়। এ বিষয়ক পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সংস্কৃতি বিষয়ক পাঠদানের জন্য আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল দেশে সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজন মোতাবেক হালনাগাদ করার আহবান জানানো হয়।

বাংলাদেশে গত ২০০৬ সালে জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল যা বর্তমানে যুগপোযোগী করণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত বিশদ কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ মেপিকোতে এই মাপের সংস্কৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজিত হয়।

 

আরপি/ এসএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top