রাজশাহী মঙ্গলবার, ১২ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ আর নেই


প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৮:০৮

আপডেট:
১২ আগস্ট ২০২৫ ০৬:১২

ছবি: সংগৃহীত

দেশের গুণী সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদ আহমেদের মেয়ে দূর্দানা ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দূর্দানা বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকেই বাবার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ডাক্তাররা সর্বশেষ চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারলেন না। আজ সকাল ৯টা ৮ মিনিটে ডাক্তার আমাদের ফোন করে জানায় বাবা আর নেই। তারও কিছুক্ষণ আগে সকাল ৯টার দিকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি এখন হাসাপাতালে, আইসিইউর দিকে যাচ্ছি!’

১১ এপ্রিল থেকে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বরেণ্য এই সুরকার। তারও আগে মার্চের শেষ সপ্তাহে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন ফরিদ আহমেদ। অবস্থার খানিক অবনতি হলে ২৫ মার্চ রাতে তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুর করার ক্ষেত্রে ফরিদ আহমেদকে উৎসাহ দিতেন কুমার বিশ্বজিৎ। যে কারণে ফরিদ আহমেদ তার গানেরই প্রথম সুর করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত বহু গানের সুর দিয়েছেন। করেছেন সংগীতায়োজনও।

ফরিদ আহমেদের করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘ইত্যাদি’র টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’,‘ আমি তোরই সাথে ভাসতে পারি মরণ খেয়ায় একসাথে’, রুনা লায়লার গাওয়া ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা সাবিনার কন্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ে ‘আজ জন্মদিন’, ক্ষুদে গান রাজ’র ‘থিম সং’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’র থিম সং, সেরা কণ্ঠ’র থিম সং প্রভৃতি।

অনেক নাটক, টেলিফিল্ম সিনেমার জন্য গান বানিয়েও সফল হয়েছেন ফরিদ আহমেদ। গানের পাশাপাশি সংগীত সংশ্লিষ্টদের বিপদে-আপদে খোঁজখবর আর সহায়তা করার ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার মৃত্যুকে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরপি / এমবি-৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top