রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা


প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:১৩

আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:১৫

সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটালে রূপান্তর করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রমের যাত্রাও শুরু হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিভাগটির অধীন বিটিসিএল, ডাক অধিদপ্তর ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়। 

এ বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরের এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র, টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুল ইসলাম এবং বিজয় ডিজিটালের সিইও জেসমিন জুঁই উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। ডাক ও টেলিযোগাাযোগ বিভাগ ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণসহ ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগের অধীন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডিজিটালাইজড করা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এর ফলে ক্লাসরুমে বই পেন্সিলের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়ালেখা করানো সম্ভব।

ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা ও ফলাফলসহ প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি থেকে পাঠ প্রদান কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ থেকে শুরু করতে চাই।

এটা করলে অন্যরাও এগিয়ে আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য চিন্তা নাই। শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল পাঠ প্রদানের জন্য সক্ষমতা তৈরি করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত কনটেন্ট আছে, তবে হাইস্কুলের জন্য যথোপয্ক্তু কনটেন্ট না থাকলেও বিদ্যমান কনটেন্ট দিয়ে যাত্রা আমরা শুরু করতে চাই।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত দেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত পাঠ্যক্রমের এক বছরের সিলেবাস ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শেষ করতে এক মাসের বেশী সময় লাগে না।

তিনি বলেন, কম্পিউটার শুধু বাংলা লেখার যন্ত্র না, প্রোগ্রামিংয়ের যন্ত্র না, কম্পিউটার সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটারে শিক্ষা বিস্তারের কাজটা যখন শুরু করি তখন কনটেন্ট ছিল না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি, পরিবর্তনটা একদম গোড়া থেকে হতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। শুধু যন্ত্রপাতি দিয়ে স্কুল ডিজিটাল করা যাবে না বলে জানান তিনি।

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top