রাজশাহী শুক্রবার, ৮ই আগস্ট ২০২৫, ২৪শে শ্রাবণ ১৪৩২


মুলা, গাজর, স্ক্রু ড্রাইভার-এবার নির্বাচনী প্রতীক!


প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:৪৯

আপডেট:
৮ আগস্ট ২০২৫ ০৫:০৩

ছবি: সংগৃহীত

কাউন্সিলর প্রার্থীরা পছন্দের প্রতীক না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। অপ্রচলিত কিছু প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। স্ক্রু ড্রাইভার, ব্ল্যাকবোর্ড, পানির বোতল, টিউব লাইট, ডালিম, ব্রিজ, পাঞ্জাবি, মুলা, গাজর এমন সব প্রতীক ইচ্ছের বিরুদ্ধে আনতে হয়েছে প্রার্থীদের। পোস্টারে এবং নির্বাচনী মিছিলে এসব প্রতীকের স্লোগান বেমানান বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। এ ছাড়া প্রতীক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সুনামগঞ্জ, ছাতক ও জগন্নাথপুরসহ তিনটি পৌরসভায় মেয়র পদে ১০জন, কাউন্সিলর পদে ১২৪জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুললেও কাউন্সিলররা অপ্রচলিত কিছু প্রতীক পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক আনাছ ব্রিজ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড প্রার্থী আহসান হাবিব আনাস ডালিম প্রতীক পেয়েছেন। শাদাকালো পোস্টারে এই দুটি প্রতীক দেখেও স্পষ্টভাবে বোঝার উপায় নেই সবার। তবে এই প্রতীকগুলোও আনতে হয়েছে তাদেরকে।

সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ৭নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আহসান হাবিব আনাস বলেন, ডালিম পোস্টারে ভাসে না। সচেতন মানুষ ছাড়া এই প্রতীক বোঝার উপায় নেই। তারপরও বাধ্য হয়ে আনতে হয়েছে। একই পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীকগুলো সুন্দর নয়। পোস্টারে ও স্লোগানে বেমানান।

জেলা কৃষক লীগের সদস্যসচিব বিন্দু তালুকদার প্রতীক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটু মাথা খাটালে এর চেয়ে আরো ভালো প্রতীক বের করা যেতো। কিন্তু কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকগুলো প্রতীক বেমানান। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রতীক নির্বাচন করে কমিশন। আমরা কেবল সেই প্রতীক থেকেই প্রার্থীদের বরাদ্দ দিয়ে থাকি।


আরপি / এমবি-১৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top