রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

রাজশাহীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন


প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২১ ২৩:৫৮

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ০৩:৪২

ছবি: সংবাদ সম্মেলন

শনিবার থেকে সারা দেশের মত রাজশাহীতেও মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সাত দিনব্যাপি কর্মসুচির বাস্তবায়ন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহানা আকতার জাহান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরিফুল হকের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য ও এবারের মৎস্য সপ্তাহের কর্মসুচি এবং জেলার মৎস্য বিষয়ক নানা তথ্য তুলে ধরেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা।

জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।

সম্মেলনে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা জানান, রাজশাহীতে কয়েক বছর থেকেই মাছ চাষে রীতিমতো এগিয়ে আছে। আর নতুন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাজা মাছ সরবরাহে প্রথম স্থানেও এখন রাজশাহী বিভাগ। প্রতিদিন রাজশাহী জেলা থেকে ১৪০ থেকে ১৫০ ট্রাকে করে দুই কোটি টাকার তাজা মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন ফরমালিন মুক্ত মাছ পাচ্ছেন। রাজশাহীতেও নতুন করে তৈরি হচ্ছে বেকারদের কর্মস্থান।

রাজশাহী বিভাগীয় মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, তাজা মাছের বাইরে পাঠানোর উৎদ্যোগটি প্রথমে রাজশাহী জেলা থেকে শুরু হয়। জেলার পুঠিয়া, পবা, মোহপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা, তানোর এবং নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রামে সবচেয়ে বেশি মাছ ঢাকাতে যাচ্ছে। রাজশাহী জেলা থেকে প্রতিদিন ১৫০ ট্রাকে তাজা মাছ যাচ্ছে। আর একটি ট্রাকে মাছ থাকে ৭০০ থেকে ৯০০ কেজি।

বর্তমানে জেলার ১২ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এই মাছ চাষে। প্রায় দুই লাখ ৮৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখন মাছ চাষে। আর বছরে আয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। রাজশাহীতে মোট পুকুর আছে ৫০ হাজার। যেখানে মৎস্যচাষি রয়েছেন ১৯ হাজার। আর মৎস্যজীবিদের মাঝে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার বেকার যুবকদের।

জানা যায়, জেলায় বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমির কয়েক হাজার পুকুরে প্রতিবছর ৮৪ হাজার মে.টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীতে চাহিদা প্রায় ৫২ হাজার মে.চন। চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩২ হাজার মে.টন মাছ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে তথ্যমতে গত ৫ বছরে জেলায় আরো নতুন করে আরো কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। যা মৎস্য অফিসের অন্তর্ভুক্ত নয়।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top