রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

কুমিল্লার মেয়ে জুথি

ফিরে পেয়েছে পরিবারকে


প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০০:৩৭

আপডেট:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০০:৩৯

জুথিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরকালে

রাজশাহী মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে প্রায় ৫ বছর পর আমেনা খাতুন জুথি ফিরে পেয়েছে তার পরিবারকে। বুধবার বিকালে আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবির এর তত্ত্বাবধানে জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জুথির বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্টে। ২০১৫ সালে সে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু সেখানে সে মারধরের শিকার হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন সে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে করে রাজশাহী চলে আসে। 

২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি মো. ফেরদৌস হোসেন নামের এক ব্যক্তি জুথিকে রাজশাহী রেলষ্টেশনে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নগরীর শাহমখদুম থানায় এসে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে জুথিকে প্রেরণ করা হয় এবং পাশাপাশি তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। তখন থেকেই সে সেফহোমে থাকতো। 

আরএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি  মোঃ ফেরদৗস হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জুথিকে রাজশাহী রেলষ্টেশন-এ কান্নাকাটিরত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি শাহমখদুম থানায় এসে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে জুথিকে প্রেরণ করা হয় এবং পাশাপাশি তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়।

জুথিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী এবং বাড়ি লাঙ্গলকোট, কুমিল্লা। সে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো কিন্তু সেখানে সে মারধরের শিকার হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন সে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে করে রাজশাহী চলে আসে।

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে পরিবারকে খুঁজে না পাওয়ায় মোসাঃ আমেনা খাতুন জুথিকে দীর্ঘমেয়াদী পুর্নবাসনের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট(এসিডি)’কে বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হয়। এসিডি’র তত্ত্ববধানে জুথি বেড়ে উঠতে থাকে এবং বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছর।

সম্প্রতি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক পলি দাস জুথির পরিবারকে খুঁজে বের করার পুনরায় চেষ্টা করেন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওসি লাঙ্গলকোট কুমিল্লা’র সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ওসি লাঙ্গলকোটের নির্দেশে এসআই দিবাকর রায় তার নিজস্ব ফেসবুক টাইম লাইনে জুথির সকল বিবরণ শেয়ার করলে জুথির চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন পোস্টটি দেখার পর থানাতে যোগাযোগ করেন।

অতঃপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে জুথির পরিবারের সাথে যোগযোগ করা হলে জুথির পরিবার বুধবার ভিকটিম আরএমপির সাপোর্ট সেন্টারে আসে। আরএমপি কমিশনার হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসি ভিএসসি সোনিয়া পারভীন, পুলিশ পরিদর্শক পলি দাস, ভিএসসি’র অন্যান্য পুলিশ সদস্যসহ জুথির পরিবার।

 

আরপি/এসআর

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top