রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২

চারঘাটে রূপচাঁদার নামে বিক্রি হচ্ছে রাক্ষুসে পিরানহা


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২০ ০৫:৩৫

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ১৬:০৪

প্রতিনিধি

 

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় গ্রামে গ্রামে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা। প্রতি কেজি পিরানহা ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় না বুঝেই ক্রেতারাও সেগুলো লুফে নিচ্ছে। তবে পিরানহা ক্রয়-বিক্রয়, খাওয়া, পরিবহন, চাষ, বাজার ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আরিফুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পার্শ্ববর্তী পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে ড্রামে বা কংসিটের বাক্সে করে পিরানহা নিয়ে আসে গুটি কয়েক অসাধু পাইকারি বিক্রেতা। ওইসব বাজার থেকে আকার ভেদে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কিনে নেয় এক শ্রেণির ক্রেতা।
পরে বড় ডেক্সি বা প্লাস্টিকের ক্যারেটের মাধ্যমে রূপচাঁদা বলে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাইকেলে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে পিরানহা বিক্রি করছেন ক্রেতারা। প্রকাশ্যে পিরানহা বেচা-কেনা চললেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের যেন নজর নেই।
রাওথা গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, রূপচাঁদা বলে প্রায় সময় এগুলো আমাদের এলাকায় নিয়ে আসে খুচরা বিক্রেতারা। লোকজন রূপচাঁদা মনে করেই ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছে তারা।
ওই গ্রামেরই একজন নারী ক্রেতা বলেন, মাছ বিক্রেতা বলেছে এগুলো রূপচাঁদা। তাই ১৩০ টাকা দিয়ে এক কেজি কিনেছি। যদি জানতাম এগুলো রূপচাঁদা নয় তাহলে কিনতাম না।
বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মুশফিক ও কাদের নামের দুজন বিক্রেতা সাইকেলে করে পিরানহা নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। তারা জানান, রুপচাদা মাছ মনে করেই আড়ত থেকে তারা পাইকারি দরে কিনে এনে এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রির করছেন। তবে যদি তারা জানতেন যে এগুলো খাওয়া এবং বিক্রি করা নিষেধ তাহলে তারা এগুলো বিক্রি করতে আসতেন না।
পিএফজির রাজশাহী জেলার সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকির অভাবে এখনো গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিষিদ্ধ পিরানহা বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে যদি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হতো তাহলে গ্রামের সাধারণ লোকজন প্রতারণার শিকার হতো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পিরানহা। এটি কোনো মাছ নয়। আমাদের দেশে এটি ক্রয়-বিক্রয়, চাষ, খাওয়া, পরিবহন, সংরক্ষণসহ সব কিছু নিষিদ্ধ। যে এসব বিষয় অমান্য করে পিরানহা বিক্রি করবে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

 

 আরপি/ এআার-০৩



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top