রাজশাহীর উদ্যোক্তা তারুণ্যের মেলায় 'আনন্দধারা'

‘রাজশাহীর উদ্যোক্তা’ নামক ফেসবুক গ্রুপের আয়োজনে তারুণ্যের মেলায় স্থান পেয়েছে তরুণ-তরুণীদের ২৮টি স্টল। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিশোর-কিশোরীদের আনন্দধারা নামে একটি স্টল মেলায় আসা আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। সেখানে বিক্রয়ের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে এসব কিশোর-কিশোরীর হাতে তৈরিকৃত বিভিন্ন রকম গহনা, হস্তশিল্প, টি-শার্ট- পেইন্টিং, খাতাসহ হরেক রকম বেকারী পণ্য ।
এসময় কথা হয় আনন্দধারা স্কুলের শিক্ষার্থী মুইক আকিব মুগ্ধ ও অবনীর সাথে। আদো আদো কন্ঠে জানালেন তাদের ভালো লাগার কথা। নিজের হাতে হরেক রকম পণ্য তৈরির আনন্দ তাদের চোখে মুখে। জানান মেলায় বিক্রি করার জন্য সপ্তাহখানেক শ্রম দিয়ে তৈরি করেছে এসব পন্য।
অবনীর মা মাহাবুবা সুলতানা জানান, কিছুদিন পূবে তার মেয়ে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারত না। আনন্দধারায় প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন কথা বলার পাশাপাশি শিখেছেন হস্তশিল্পের কাজ। অন্য দশজনের মত সেও স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হয়ে উঠার।
আনন্দধারা স্কুলের ইনচার্জ রাসেদুল ইসলাম বলেন, আনন্দধারা স্কুল মূলত 'এফডাব্লুসিএ' পরিচালিত অটিস্টিক, বুদ্ধি ও বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর- কিশোরীদের সেবা এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছি। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজ হাতে তৈরিকৃত বেকারি সামগ্রী, খাতা, বিভিন্ন স্বর্ণ এমিটেশনের অরনামেন্স সামগ্রী বিক্রি করে উপার্জন করছে।
স্কুলের প্রফেশনাল ট্রেইনার রিমা শারমিন জানান, আমরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছি, আমরা চাচ্ছি সবাই জানুক আমাদের বাচ্চারাও এসব পন্য তৈরি করতে পারে। তারাও অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই। তারাও উদ্যোক্তা হওয়ার চেলেঞ্জ গ্রহণ করেছে।
মেলার আয়োজক রাজশাহীর উদ্যোক্তা’ গ্রুপের এডমিন ও ক্রিয়েটর তাসনিম আরা জানান, আগামীতে এসব উদ্দোক্তাদের জন্য আরো বড় প্লাটফর্ম তৈরি করতে চান। এসব উদ্যোক্তাদের প্রতিভা বিকাশে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় তিনদিন ব্যাপী শুরু হয়েছে রাজশাহীর উদ্যোক্তা তারুণ্যের মেলা-২০২১’। আজকেই শেষ হবে এ মেলা।
আরপি/ এসআই-৫
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: