রাজশাহী কলেজ মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পার্থ সারথী বিশ্বাসের বিদায় সংবর্ধনা

রাজশাহী কলেজ মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর পার্থ সারথী বিশ্বাস এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১০ টায় ফুল ছিটিয়ে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর রাজশাহী কলেজের অডিটোরিয়াম কক্ষে তার জীবনী ও অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ যহুর আলী, কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ উদ্দীন, তার সহধর্মিণী রাজশাহী কলেজের ইংরেজি ভিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সকল শিক্ষক সহ অন্যান বিভাগের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষক ও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে দশটায় পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।শুরুতেই তার জীবনী নিয়ে একটি মান পত্র পাঠ ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর একে একে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষকতা ও অবদান নিয়ে তাদের মন্তব্য প্রকাশ করেন।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ যহুর আলী বলেন,পার্থ সারথী স্যারের বিদায় অনুষ্ঠানে আজকের উপস্থিতিই বলে দেয় শিক্ষক হিসিবে তিনি অত্যন্ত সফল। তার কথা বলার মধ্যে একটা অন্যরকম আর্ট আমি বরাবরই লক্ষ্য করেছি।তার শিক্ষকতার ধরণ ও শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে যাওয়ার যে গুণাবলী সেটি অন্যান্য শিক্ষকদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মোঃ ইব্রাহিম আলী বলেন, আজকের এই প্রাণচঞ্চল উপস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে শিক্ষক হিসেবে তিনি কতটা স্বার্থক। আমরা সবসময় দেখেছি তার দায়িত্ববোধ ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যা সত্যি অতুলনীয়। আমরা তাকে বিদায় দিচ্ছি তবে আমি মনে করি এই বিদায়ে আমাদের যেমন কষ্ট হচ্ছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে তার শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ উদ্দীন বলেন,পার্থ সারথী স্যারের কাছ থেকে আমরা নিজেরাও অনেক কিছু শিখেছি। তিনি তার শিক্ষকতার পথচলায় অনেক কিছুই অর্জন করেছেন যা আজকের এই উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায়।
বিদায়ী শিক্ষক প্রফেসর পার্থ সারথী বলেন,আমি সবসময় আমার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। তবে আজকে সকলের অনুভূতি শুনে আমার মনে হয়েছে এবং আশ্বস্ত হতে পারছি যে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সার্থক।আমি সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করি।আমি মনে প্রাণে কখনই প্রশাসনিক কাজ করতে চায়নি। আমার ব্যাস্ততা সবসময় শিক্ষার্থীদের সাথে থাকুক এটাই চেয়েছিলাম তবে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি হয়ত পুরোটা সময় শিক্ষার্থীদের সাথে কাটাতে পারিনি।এই একটা আক্ষেপ আমার সবসময়ই ছিলো এবং থাকবে। দিনশেষে যা পেয়েছি তা আমার কল্পনার বাইরে।আমার অধ্যক্ষ সহ সকল সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বিদায়ী দিনটা এভাবে স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে তার শিক্ষকতার দক্ষতা ও সুসম্পর্কের কথা উঠে আসে।এবং বক্তব্য শেষে ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য তিনি ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ১৯৯৪ সালে বদলি হয়ে রাজশাহী কলেজে আসেন এবং মাঝের পাঁচ বছর শিক্ষা ছুটি বাদে একটানা ২৬ বছরেরও অধিক সময় তিনি রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করে কাটান।
আরপিিআআ
বিষয়: রাজশাহী কলেজ মনোবিজ্ঞান বিভাগ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: