রাজশাহী মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


অনিয়মের অভিযোগ এনে নওগাঁ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের পুনঃ নির্বাচনের দাবি


প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:২৯

আপডেট:
১৪ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩১

নওগাঁয় পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের পুনঃ নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

অবৈধ পন্থায়, অনিয়ম ও ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলা-সহ কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কাভার্ড ভ্যান পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নে ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা।

সংগঠনটির রেজিস্ট্রেশন নং-রাজ-২৬৫০। শুক্রবার সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরাজিত সভাপতি প্রার্থী আবু তালেব।

সংবাদ সম্মেলনে আবু তালেব বলেন, গত ৭ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংগঠনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলে। যেখানে ব্যাপক কারচুপি, বির্তকিত, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্য দিয়ে শেষ হয়। নির্বাচন কমিশনার প্রশাসন ও আইনের কোন সহযোগীতা না নিয়ে ভোট গ্রহন শুরু করে। ভোট শেষ হওয়ার পর এজেন্ট এর সামনে ব্যালট পেপার শেটিং করা হয়। এরপর তার এজেন্টদের খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অন্য জায়গায় রেখে ১ঘন্টা ভিডিও ক্যামেরা সহ সকল কিছু বন্ধ রাখা হয়। নির্বাচন কমিশনার ভোট গণনা শেষ করলেও আমাদের এজেন্টদের মোট ব্যালট পেপারের হিসাব দেননি। ভোট গণনা করে পরদিন ভোর ৫টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন- ব্যালট পুড়িয়ে এবং বিভিন্ন কৌশলে আমাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী প্রার্থী শফিকুল ইসলামের ইন্ধনে ফলাফল ঘোষনার পর আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে আনোয়ার হোসেন নামে একজন আহত হয়। আমরা বাদী হয়ে গত ১২ নভেম্বর রাজশাহী শ্রম আদালতে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এছাড়া ফলাফল বাতিল করে পুনঃ নির্বাচনের দাবী জানিয়েছি।

জানা গেছে, সংগঠনের মোট ভোটার ৪ হাজার ৫৮ জন। ১৭ টি পদের বিপরীতে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেছে। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ডা. মাহফুজুল হক লাইফ, সহযোগী নির্বাচন কমিশনার হানিফুল ইসলাম এবং সচিব আব্দুল হান্নান কাজল।

নির্বাচনে সভাপতি পদে রওশন জালাল ১ হাজার ৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতি এসএম শাহাদত হোসেন পেয়েছেন ৮৮৪ ভোট এবং আবু তালেব পেয়েছেন ৬০৪ ভোট। এছাড়া সাধারন সম্পাদক পদে শফিকুল ইসলাম ১ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল গফুর পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৩ ভোট এবং আজাদ পারভেজ পেয়েছেন ৩৮ ভোট। মোট ভোট পড়েছে ২ হাজার ৮২৮ টি।

এ ব্যাপারে বিজয়ী সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ফলাফল ঘোষণা হওয়া পর পরাজিত প্রার্থীরা মেনে নিতে চান না। পরে তারা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্যদের উপর ইট ছুড়ে হামলার চেষ্টা চালায় এবং মামলা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তবে আমার বিরুদ্ধে তারা যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. মাহফুজুল হক লাইফ বলেন, ভোট গ্রহন থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে চলছিল। আমরাসহ ২০জন প্রিজাইডি কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট ছিলাম। ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে পরদিন ভোর হয়ে যায়। ফলাফল ঘোষণার সময় একটি পক্ষ উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরাজিত প্রার্থীদেরও এজেন্ট ছিল। তবে তারা যে গুজব রটাচ্ছেন তা সম্পূর্ন কাল্পনিক। কোন ব্যক্তির ভোট নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ ছিল না। 

আরপি/ এএন-০৩


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top