রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২

প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী, অবশেষে...


প্রকাশিত:
২১ জুলাই ২০২২ ০৫:৪১

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৪:১৯

ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের টানে রাজশাহী এসেছেন মালয়েশিয়ান এক তরুনী। তিনি সেই দেশের পাসপোর্ট কর্মকর্তা। রাজশাহীর এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বসেন বিয়ের পিড়িতে। হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রাজশাহী আসা ওই তরুণীর নাম স্যান্ডি (২০)। মন দেয়া-নেয়ার পর অবশেষে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রাজশাহীর প্রেমিক জুলফিকারের সঙ্গে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী স্যান্ডি বাংলাদেশে এসে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা আলিশা অ্যানি। এরপরই হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

ঈদের তিন দিন পরে গত ১৪ জুলাই ধর্মীয় রীতি মেনে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। বরের পরিবার-পরিজন সানন্দে বরণ করে নেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণীকে। আনন্দের সীমা ছড়িয়েছে জুলফিকারের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝেও।

জুলফিকার রাজশাহী নগরীর বিনোদপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি প্রায় ৮ বছর আগে পড়ালেখার সুবাদে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি পার্ট-টাইম চাকরিও করতেন তিনি। ওই সময়ই জুলফিকারের সঙ্গে পরিচয় এই তরুণীর। এক সময় গভীরতা পায় দুইজনের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক। অতঃপর ভালোবাসার টানে বাবা-মা ও পরিবার ছেড়ে উড়াল দেয় বাংলাদেশে।

এ বিষয়ে জুলফিকার বলেন, এমন আমার পরিবারের সবাই খুশি। সত্যিকারের ভালোবাসা ধর্ম, ভাষা বা কোনো বাধা মানে না স্যান্ডি তা প্রমাণ করলেন। সে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী হলেও আমার জন্য ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনসহ পুরো দেশ ছেড়ে এসেছেন। তার এই ভালোবাসা অবশ্যই অনেক বড় প্রাপ্তি বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে আলিশা অ্যানি বলেন, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। একইসাথে বাংলাদেশ ও রাজশাহীর পরিবেশ ভীষণ ভালো লেগেছে। শাশুড়ি মা পছন্দ করায় এবং পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি অনেক খুশি এবং আনন্দিত।

শাশুড়ির সঙ্গে সংসারের কাজ করতে চাই। কিন্তু শাশুড়ি ভালোবেসে কিছুই করতে দেন না। আগামী সপ্তাহেই স্বামী জুলফিকারকে নিয়ে নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে চান তিনি। সেখানে দুইজনই নতুনভাবে নিজ ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন বলেও জানান এই নববধূ।

তবে মালয়েশিয়ান বংশদ্ভূত এই বাঙালি বধূকে দেখতে জুলফিকারে বাড়িতে ভিড় করছেন স্থানীয় উৎসুক জনতা। ভাষাগত জটিলতা থাকলেও পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে বেশ। আর ভিনদেশী এই নববধূর কথোপকথনে দোভাষী হিসেবে কাজ করছেন স্বামী জুলফিকার।

 

আরপি/ এমএএইচ-০৯



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top